Sunday, March 8, 2015

পরিকল্পনা 

পরিকল্পনা হলো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে ভবীষ্যৎ কার্যক্রমের অগ্রিম নকশা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহন করা।

ব্যবস্থাপনার প্রাথমিক ও গ্রুতপুরন কাজ হলো পরিকল্পনা। যে কোন প্রতিষ্টানের অস্তিত্ব রক্ষা ও উন্নয়নের জন্যে পরিকল্পনার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।

পরিকল্পনা ভবিষ্যৎের সাথে সম্পর্ক রয়েছে।
নিম্নে পরিকল্পনার কতিপয় উল্লেখযোগ্য সংজ্ঞা  উপস্থাপনা করা হলো:-
আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক HENRY FAYOL বলেন "যে কর্মপন্থা  গৃহীত হবে তা, যে সকল পর্যায়ের মধ্যদিয়ে সেটা চলবে তা এবং যে পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে তা নির্ধারণ করা এবং ঐ একই সময়ে ফলাফল বিচার করা.

 Professor R.W.Griffin এর ভাষায় পরিকল্পনা অর্থ হচ্ছে প্রতিষ্টানের লক্ষ্য নির্ধারণ এবং তা কত উত্তমরূপে উর্জন করা যায় সে সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহন প্রক্রিয়া।

G.R.Eterry এর মতে, পরিকল্পনা হলো প্রাতিষ্ঠানিক উদ্দেশ্যাবলি অর্জনে ভবিষ্যত প্রয়োজনীয় কার্যক্রম প্রণয়ন সর্ম্পকে ধারনা তৈরি করা।
উল্লিখিত সংজ্ঞাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পরিকল্পনা হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভবিষ্যতের করনীয় সর্ম্পকে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা।

নেতৃত্ব

নেতৃত্ব হল এমন এক "সামাজিক প্রভাবের প্রক্রিয়া যার সাহায্যে মানুষ কোনও একটি সর্বজনীন কাজ সম্পন্ন করার জন্য অন্যান্য মানুষের সহায়তা ও সমর্থন লাভ করতে পারে।"[১] জিনতত্ত্ববিদের এলান কিথ আরও সর্বব্যাপী একটি সংজ্ঞা দেন। তিনি বলেন, "নেতৃত্ব হল মানুষের জন্য একটি পথ খুলে দেওয়া যাতে তারা কোনও অসাধারণ ঘটনা ঘটানোর ক্ষেত্রে নিজেদের অবদান রাখতে পারে।"[২] কেন অগবন্নিয়ার (২০০৭) কথায় "প্রাতিষ্ঠানিক বা সামাজিক লক্ষে পৌঁছনোর জন্য অন্তর্বর্তী ও বাহ্যিক পরিবেশে প্রাপ্ত সম্পদকে সফলভাবে সমন্বয় সাধন করাও তা থেকে সর্বাধিক লাভ তোলার ক্ষমতাই হল কার্যকরী নেতৃত্ব।" কার্যকর নেতার সংজ্ঞা অগবন্নিয়া দেন এভাবে, "যে কোনও পরিস্থিতিতে যে ব্যক্তি ধারাবাহিকভাবে সফল হওয়ার ক্ষমতা রাখেন এবং কোনও সংস্থা বা সমাজের প্রত্যাশা পূরণকারী হিসেবে স্বীকৃতি পান", তিনিই কার্যকর নেতা।
প্রতিষ্ঠানগত অনুষঙ্গে তার অন্যতম প্রাসঙ্গিক দিক হল নেতৃত্ব। কিন্তু নেতৃত্বের সঠিক সংজ্ঞা দেওয়া বেশ কঠিন। লিঙ্কন ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক এন মেরি ই. ম্যাকসোয়েনের মতে, "নেতৃত্ব আসলে ক্ষমতা: নেতাদের শোনার ও পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা, সব স্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আলোচনা শুরু করায় উত্সাহদানের জন্য নিজেদের দক্ষতাকে কাজে লাগানোর ক্ষমতা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সঠিক প্রক্রিয়া ও স্বচ্ছতাকে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষমতা, জোর করে চাপিয়ে না দিয়ে নিজেদের মূল্যবোধ ও দূরদর্শিতাকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করার ক্ষমতা। নেতৃত্ব মানে শুধুই সভায় আলোচ্য বিষয়সূচির প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখানো নয়, নিজে সেই কর্মসূচি স্থির করা, সমস্যা চিহ্নিত করা এবং শুধুই পরিবর্তনের সঙ্গে সামাল দিয়ে না চলে নিজেই এমন পরিবর্তনের সূচনা করা যা উল্লেখযোগ্য উন্নতির পথ প্রশস্ত করে।"
পরবর্তী বিভাগগুলিতে নেতৃত্বের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। নেতৃত্ব কী এবং নেতৃত্বকে ঘিরে বেশ কিছু প্রচলিত তত্ত্ব এবং শৈলীর বিবরণও এই আলোচনার অন্তর্গত। আবেগ ও দূরদৃষ্টির ভূমিকা এবং নেতৃত্বের কার্যকারিতা ও কার্য সম্পাদন, বিভিন্ন অনুষঙ্গে নেতৃত্বের ধারণা, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ধারণার (যেমন, ম্যানেজমেন্ট) থেকে এটি কীভাবে আলাদা, এবং সাধারণভাবে নেতৃত্বের কিছু সমালোচনা।

হেনরি ফেয়ল

Henri Fayol
হেনরি ফেয়ল (ইংরেজি: Henri Fayol; জন্ম: ২৯ জুলাই, ১৮৪১ - মৃত্যু: ১৯ নভেম্বর, ১৯২৫) ছিলেন ইস্তাম্বুলে জন্মগ্রহণকারী ফরাসী খনি প্রকৌশলী ও খনির পরিচালক। তিনি ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ের সাধারণ তত্ত্বের উন্নয়ন সাধন করেছেন।পরবর্তীকালে তিনি ও তাঁর সহকর্মীবৃন্দ বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাপনায় এ তত্ত্বের উন্নয়নে স্বতন্ত্র ও খসড়াভাবে কাজ করেছেন। আধুনিক ব্যবস্থাপনার ধারণায় তিনিই সবচেয়ে প্রভাববিস্তারকারী ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন। আধুনিক ব্যবস্থাপনা জনক কিংবা প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার জনক হিসেবে তাঁকে গণ্য করা হয়।


প্রারম্ভিক জীবন

অটোম্যান সাম্রাজ্যের অধীন ইস্তাম্বুলের সন্নিকটে ১৮৪১ সালে জন্মগ্রহণ করেন ফেয়ল। গোল্ডেন হর্নের সাথে জড়িত গালাতা ব্রিজের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন তাঁর প্রকৌশলী বাবা। ১৮৪৭ সালে তাদের পরিবার ফ্রান্সে চলে যায়। ১৮৬০ সালে সেন্ট-ইটিনে এলাকায় অবস্থিত ইকোলে ন্যাশিওন্যাল সুপারিয়র ডেস মাইনস ডি সেন্ট-ইটিনে প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি।
১৯ বছর বয়সে ১৮৬০ সালে কমেন্ট্রিতে অবস্থিত "কম্প্যাগনি ডি কমেন্ট্রি-ফোরচ্যাম্ব্যু-ডিকেজেভিল" নামীয় একটি কোম্পানিতে কাজ শুরু করেন এবং ১৮৮৮ সালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পান। তখন কোম্পানির আর্থিক মন্দাবস্থায় চলছিল। ১৯০০ সালে কোম্পানিটি ফ্রান্সের সর্ববৃহৎ লৌহ ও ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা পায়।১৯১৮ সালে যখন তিনি ঐ পদ থেকে অবসর নেন তখন কোম্পানি একটি সুদৃঢ় অর্থনৈতিক অবস্থানে ছিল। তখন সেখানে দশ সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করতো।

অবদান

১৮৭০-এর দশকে ফেয়ল খনিজ বিজ্ঞান বিষয়ে একগুচ্ছ নিবন্ধ লেখেন। প্রথম নিবন্ধটি ফরাসী ’বুলেটিন ডি লাক সোসাইটি ডি আই’ইন্ডাস্ট্রি মিনারেল’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৮৮০-এর দশকের শুরুতে ফরাসী বিজ্ঞান একাডেমীর মুখপত্র ’কম্পটেস রেন্ডাস ডি আই’একাডেমী ডেস সায়েন্সেসেও’ প্রকাশিত হয়েছিল।
শুধুমাত্র নিজস্ব ব্যবস্থাপকীয় অভিজ্ঞতাকে অবলম্বন করে তিনি প্রশাসনিক বিষয়ে নিজ ধারণা উত্তরণ ঘটান। হেনরি ফেয়ল ১৯১৬ সালে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার উপর ’এডমিনিস্ট্রেশন ইন্ডাসিয়েল এট জেনারেল’ শিরোনামে একটি বই লিখেন যা পরবর্তিতে অন্যান্য লেখকদেরকে ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করে। একই সময়ে এফ. ডব্লিউ টেলর ’প্রিন্সিপলস অব সায়েন্টিফিক ম্যানেজম্যান্ট’ প্রকাশ করেন।
ব্যবস্থাপনার নীতি প্রবর্তন করেছেন ফেয়ল। তিনি ব্যবস্থাপনার ৫টি কার্যাবলি এবং কেন্দ্রীকরণ ও একতাসহ ১৪টি মূল নীতি প্রবর্তন করেন।

ব্যবস্থাপনা

ব্যবস্থাপনা (ইংরেজি: Management) হলো কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্য বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে এক বা একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কোন গোষ্ঠীর উপর কর্তৃত্ব স্থাপন ও নিয়ন্ত্রণ। ব্যবস্থাপনা বলতে মানব সম্পদ, তথ্য-প্রযুক্তি ভান্ডার ও প্রাকৃতিক সম্পদের নিয়ন্ত্রণকেও বোঝানো হয়ে থাকে। ব্যবস্থাপনা বলতে সেই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকেও বোঝানো যেতে পারে যারা ব্যবস্থাপনা করে থাকে। এটা হতে পারে পারিবারিক জীবন সংক্রান্ত ব্যবস্হাপনা বা পেশাগত দাপ্তরিক ব্যবস্হপনা।
"ব্যবস্থাপনার" কোন সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। ব্যবস্থাপনা ও এর মূল ফাংশনগুলোকে নিম্নলিখিতভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়ঃ

Wednesday, March 4, 2015

"Allah" in Arabic calligraphy 

Allah is Almighty
আল্লাহ মহান